উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, যুদ্ধাহত এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করেন। বিশেষভাবে তিনি সশস্ত্র বাহিনী তথা সেনাবাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনকালে আহত ও শহীদ সেনা সদস্য এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ছাত্র-জনতার কথাও গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন।
পদোন্নতির ক্ষেত্রে অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলী, শৃঙ্খলা, সততা, বিশ্বস্ততা, আনুগত্য এবং নিযুক্তিগত উপযুক্ততার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনী পর্ষদের সদস্যদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, সৎ, নীতিবান, পেশাদার এবং নেতৃত্বের গুণাবলীসম্পন্ন অফিসাররাই উচ্চতর পদে উন্নীত হওয়ার যোগ্য।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে উঠে যারা সামরিক জীবনের বিভিন্ন স্তরে সফল নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা উচিত। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনীর অবদান ছাড়াও অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় বেসামরিক প্রশাসনের সহযোগী হিসেবে সেনা সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করায় সেনাবাহিনী প্রধান প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।
প্রথম পর্বের এই পদোন্নতি পর্ষদে কর্নেল ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার যোগ্য অফিসাররা পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন।